আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যতামূলক করতে ইসি বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ নির্বাচন অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বার) ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ৫ জেলা (ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও মেহেরপুর) নির্বাচন সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাগণ ডিসি, এসপি, নির্বাচন কর্মকর্তা, ইউএনও, ওসিসহ সকলের সাথে মতবিনিময় করার সময় এসব কথা বলেন।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ভোটার উপস্থিতিটা প্রার্থীর জন্য, তাই প্রার্থীর দায়িত্ব ভোটার উপস্থিতি করানো, আমাদের খুশি–অখুশির বিষয় না। এটা হচ্ছে লিগ্যালিটি, আরেকটা হচ্ছে লেজিটিমিসি। অল্প ভোটেও লিগ্যাল একজন এমপি হবে। পারসেপশনে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে , তবে আইনগত ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই বলে সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব খান।
বিএনপির সাথে সংলাপের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসার চেষ্টা করেছি। অনেকেই আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর যারা দেননি তাদেরকে আমরা আনুষ্ঠানিকতা বাদে অনানুষ্ঠানিকভাবেও আলোচনার আহবান জানিয়েছি। আমরা বারবার বলেছি, আসুন কথা বলি। তারা আমাদের স্বীকারই করেনি। তারপারও আমি যখন ইয়ারপোর্টে যাই তাদের কারো সাথে দেখা হলে তাদের অনুরোধ করে বলি, আমি আপনাদের নির্বাচন কমিশন, তাদের সাথে কথা বলে প্রথমে মনে হয় ভালো তারা আলোচনায় আসবে। কিন্তু কোন অজানা কারনে পরবর্তীতে আর আলোচনায় আসতে চান না। মনে হয় টেলিশন এই জায়গাই আর রিমোর্ট অন্য জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রন করছে।
বিদশীদের নিয়ে তিনি হাবিব খান জানান, যারাই আমাদের কাছে এসেছে যেমন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, এ্যামবাসেডর হোক তাদেরকে আমরা প্রশ্ন করেছি যে, আমরা যে ২১ মাসে ১৩শ নির্বাচন করেছি আপনাদের কি কোন অবজারভেশন নাই। আরো কি করলে ভালো হয় তাও তারা কোন কথা বলে না। তারা জানে যে, আমরা সাংবিধানিক পদে আছি। সাংবিধানিক ভাবেই নির্বাচন করছি। সংবিধানের সুরক্ষায় নির্বাচন করাটা জরুরি।
নির্বাচনে কেন্দ্রর বাইরের পরিবেশ কেমন হবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা বসে সিদ্দান্ত নেব। ভোটারদের আসা–যাওয়া রুটগুলো কিভাবে সুরক্ষিত করা যায়। তবে আমরা নতুন আইন করেছি। যদি কেউ বাড়ি থেকে ভোট কেন্দ্রে আসে, সে যদি পথে কোন বাঁধা গ্রস্ত হয়, যেই বাঁধা দেক না কেন তার জন্য সর্বনিম্ন ৩ বছরের জেল দেয়ার আইন রয়েছে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ