নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এক নারীকে ধর্ষনের পর হত্যার দায়ে স্বামী বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার(২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত বেলাল হোসেন সদর উপজেলার উলুপুর এলাকার জব্বার আলীর ছেলে এবং বেলাল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে।
নাটোর জজ আদালতের স্পেশাল কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারী নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি আম বাগানে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ পড়ে আছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধারে করে।
মরদেহটির উদ্ধারস্থল থেকে জব্দকৃত আলামতের সাথে জেসমিনের ছবি পাওয়ায় সন্দেহ জনক ভাবে জেসমিন খাতুনকে আটক করে পুলিশ। পরে জেসমিনের স্বামী বেলাল হোসেন জড়িত থাকা সন্দেহে আটকের চেষ্টা করে কিন্তু ঘটনার পর থেকে বেলাল হোসেন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় জেসমিন ও তার স্বামী বেলাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে নাটোর সদর থানার উপ–পরিদর্শক নুরুজ্জামান মামলা দাখিল করেন।
দীর্ঘ ১৩ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন উভয়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন আদালত।রায়ের সময় জেসমিন উপস্থিত থাকলেও তার স্বামী বেলাল হোসেন ছিল পলাতক। জরিমানার অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
সাহেদুল আলম/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ