গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলামের হাত–পায়ের রোগ কেটে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ইসলাম ও কবির মিয়া মোটরসাইকে করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে উপজেলার সুন্দরগঞ্জ বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌছিলে ৭–৮ জন হঠাৎ রশি টেনে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়।
এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত–পায়ের রগ কেটে দেয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় জাহিদুল ও কবিরকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। জাহিদুল ইসলামে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখাসে ভর্তির পর প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, গুরুতর আহত হওয়ায় জাহিদুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর পরেই প্রচুর রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দৃষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।
ভবতোষ রায়/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ