গভীর সমুদ্র বন্দরের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান। আগামীকাল (১১ নভেম্বর) কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং চ্যানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাবিশ্বে বন্দর কেন্দ্রিক বাণিজ্যে নতুন এক সম্ভাবনার নাম, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর। মহেশখালীতে নীল জলরাশির মাঝে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন, দেশের প্রথম এ গভীর সমুদ্র বন্দরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।
এরইমধ্যে জাইকার অর্থায়নে সাগরে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেল তৈরির কাজ শেষ। ৩৫০ মিটার প্রশস্ত চ্যানেলও পুরোপুরি প্রস্তুত। যেখানে ভিড়বে সর্বোচ্চ ১৮ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ। ফলে ট্রানিজট ছাড়াই ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে সরাসরি পণ্য পরিবহন করা যাবে।
ভবিষ্যতে এই বন্দর দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবসা বাণিজ্যের হাব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রথম ধাপে একসাথে চারটি জাহাজ ভিড়তে পারবে এই বন্দরে। পরে এর স্বক্ষমতা আরো কয়েকগুণ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
বৃহস্পতিবার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর পরিদর্শন শেষে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হবে মাতারবাড়ি।
২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ