গাজায় দ্রুত যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব, মিশর, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে শনিবার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়। তবে, ওয়াশিংটন এতে রাজি নয়। ইসরাইলের হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৪৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলায় অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব, মিশর, কাতার, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এসময় আরব নেতারা তাৎক্ষণিক যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিরতি হলে হামাস সুবিধা পাবে। তিনি বেসামরিক নাগরিকদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর নিজ দেশে চাপ বাড়ছে। ওয়াশিংটনে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায়, ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্ক। ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে, তেলআবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে হন্ডুরাস।
এই যুদ্ধকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বলেন– ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলা ছিল ভয়াবহ। আর এখন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যা হচ্ছে, তা ‘সহ্যের বাইরে চলে গেছে।
৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলায় ১৪শ মানুষ নিহতের পর থেকে গাজায় আগ্রাস চালাচ্ছে তেলআবিব।
আল / দীপ্ত সংবাদ