বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম অংশগ্রহণ করে ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয়। সেই সঙ্গে ওই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কটল্যান্ডকেও পরাজিত করে।
২০০৩ সালে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচে হেরে যায়। এমনকি দুর্বল কানাডার কাছেও পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
তবে চমক ছিলো ২০০৭ বিশ্বকাপে। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তৃতীয়বার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে। এই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে টেন্ডুল্কার, দ্রাবিড়, শেবাগ, গাঙ্গুলীর শক্তিশালী ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে দেয়। যার কারণে ভারত প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়। এই আসরে বারমুডাকে সাত উইকেটে হারিয়ে সুপার এইট–এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সুপার এইটে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ রানে হারায়।
এরপরের বিশ্বকাপগুলোতে তেমন কোনও সাফল্য না পেলেও ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ দলের সম্প্রতি পারফারমান্স ভক্তদের মনে আশা জাগায় ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে।
তবে ২০২৩ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে আসর শুরু করলেও এরপর আর জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি সাকিব আল হাসানরা। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে টিম টাইগার্স। টানা ছয় পরাজয়ে সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। আর তাই টুর্নামেন্টের বাকি দুটি ম্যাচ কেবলই নিয়মরক্ষার।
বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টগুলোয় অনেকের চোখ থাকে প্রাইজমানি বা অর্থ পুরস্কারের দিকে। কোন দল কত পাচ্ছে, সে খোঁজ নিতে শুরু করেন অনেকেই। ইতিমধ্যে এক কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা করেছে আইসিসি।
সেখানে,
আসরের চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৪ কোটি টাকা)।
রানার্স–আপ দলটি পাবে ২০ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২২ কোটি টাকা)।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল দুটি পাবে ৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)।
প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়া ছয় দলের প্রত্যেকে পাবে ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ কোটি ১০ লাখ টাকা)।
এছাড়া গ্রুপপর্বে যে ৪৫টি ম্যাচ হচ্ছে, সেখানে ম্যাচজয়ী দলগুলো পাবে ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা করে।
সে হিসেবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দল পাচ্ছে দেড় কোটি টাকার মতো। শেষ দুই ম্যাচে জিততে পারলে টাকার অঙ্কটা আরও বাড়বে।
আল আমিন/ দীপ্ত সংবাদ