প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসী দল, আবারও সন্ত্রাসী করে তারা এটা প্রমাণ করেছে। এতে জনগণের ঘৃণা ছাড়া আর কিছু জুটবে না। বিএনপিকে যেভাবে শিক্ষা দিতে হয়, এখন সেটাই তাদের দেয়া উচিত। আমরা এখন সেটাই দেব।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বেলজিয়ামে তিনদিনের সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সরকার প্রধান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের শর্তহীন সংলাপের বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ, কীসের বৈঠক।‘ আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছি। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। যারা আমাদের উন্নয়নকে ধ্বংস করছে। আমাদের পুলিশকে পিটিয়ে যেভাবে হত্যা করেছে, এতজন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে, সে বিষয়ে কেন কোন কথা বলেননি তিনি।‘
নির্বাচনে কোনো আন্তর্জাতিক চোখ রাঙানি আছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কে চোখ রাঙাল কে রাঙাল না তা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবে না। নির্বাচন যথা সময়ে হবে। যারা হত্যা খুন করার পরেও বলে সংলাপ করতে হবে। ট্রাম্পের সঙ্গে কি বাইডেন সংলাপ করছে। যেদিন ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেন সংলাপ করবে, সেদিন আমরা সংলাপ করব।‘
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাঝখানে বিএনপি কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছিল। তখন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। তারা জনগণের আস্থাও কিছুটা অর্জন করেছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরপর জনগণের ধিক্কার ছাড়া আর কিছুই জুটবে না। হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে। ইসরায়েল যেভাবে গাজায় হাসপাতালে হামলা করল, তার সাথে তফাৎ দেখতে পাচ্ছি না। এরপর নিজেরাই পালাল, এখন আবার অবরোধ। কিসের অবরোধ? কার জন্য অবরোধ?’
সাংবাদিকদের ওপর বিএনপির এত রাগ কেন–প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলো দিলাম। অথচ, আমার সংবাদই পরে দেওয়া হচ্ছে। তাদের নিউজই গুরুত্ব দিয়ে আগে করা হয়। অথচ, বিএনপি সাংবাদিকদের পেটাল। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির স্বভাব কখনই বদলাবে না। এরা নির্বাচন চায় না। তারা সন্ত্রাস করে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে চায়। আসলে মানুষকে কষ্ট দেওয়াটাই বিএনপির চরিত্র। বিএনপিকে যেভাবে শিক্ষা দিতে হয়, সেটাই আমরা দেব।‘
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ