এ ক্যাম্পেইন আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হয়ে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। আজ (২২ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল–এ ১১.১১ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ ২০২৩ নিয়ে দারাজ এর পক্ষ থেকে ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
“কিনে নাও সবই” স্লোগানে সঞ্চয় ও উৎসবের আমেজ নিয়ে দারাজ এবারের ১১.১১–এর প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে। প্রতি বছরের মত এবারও ক্রেতাদের কেনাকাটায় ভিন্নমাত্রা যোগ করতে দারাজ নিয়ে এসেছে চমৎকার সব অফার, যার মধ্যে থাকছে ২০ লাখ ডিল, সর্বমোট ৫০ কোটি টাকা মূল্যের বিশাল ডিসকাউন্ট, ফ্রি শিপিং, ৭০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, এক্সক্লুসিভ ভাউচার, ফ্ল্যাশ সেলস সহ আরও অনেক চমৎকার ডিলস ও ছাড়।
এ বছর ১১.১১ এর ফোকাস ক্যাটাগরির মধ্যে থাকছে ইলেকট্রনিক্স–হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফ্যাশন আইটেমস, হোম ডেকর, ডেইলি অ্যান্ড মান্থলি এসেনশিয়ালস, রেগুলার গ্রসারিজ, মাদার অ্যান্ড বেবি আইটেমস এবং বিউটি প্রোডাক্টস।
এ বছর ১১.১১ উপলক্ষে গ্রাহকদের একটি অসাধারণ অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উপহার দিতে যেসব বিক্রেতা নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে, শুধুমাত্র তাদের বাছাই করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন বিধি বিধান সম্পর্কে সতর্কও করেছে এই ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও, বিদ্যমান নীতি মেনে নির্ধারণকৃত আকর্ষণীয় সব অফারের মধ্যে কোন অসাধু বিক্রেতা যেন অবাস্তব অফার না দিতে পারে, সে ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দিয়েছে দারাজ। ১১.১১ নিয়ে গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে প্রোডাক্ট অথেন্টিসিটি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যেমন, দারাজ মলে আছে গ্যারান্টিসহ অথেন্টিক প্রোডাক্টের অফার, যাতে নকল প্রোডাক্ট ডেলিভারি পেলে থাকছে দ্বিগুণ অর্থ ফেরতের সুযোগ।
তাছাড়াও, বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত মনিটর করা, তাদের ডেভেলপমেন্ট ও প্রয়োজনে প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। সময় মত ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে অনেক নতুন রাইডার নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মাকেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, “দারাজের ১১.১১ গ্রাহকদের জন্য শুধুমাত্র সঞ্চয় করার সুযোগ তৈরি করে না, বরং একটি উৎসবের আমেজও তৈরি করে। প্রতি বছরের মত আমাদের গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করে আরও একটি সফল ১১.১১ উপহার দিতে আমাদের টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। আশা করছি গ্রাহকরা তাদের পছন্দের পণ্যের তালিকা নিয়ে প্রস্তুত আছেন বছরের সবচেয়ে বড় বিক্রয় উৎসবে আমাদের সাথে সামিল হওয়ার জন্য।”
দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, “দারাজ এর ১১.১১ ক্যাম্পেইন বিক্রেতাদের ও ক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। এই বছর, আমরা আরও বেশী ডিল, ভাউচার এবং অফার নিয়ে প্রস্তুত ক্রেতাদের কেনাকাটার সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা দিতে।
বছরের এই বৃহত্তম শপিং কার্নিভ্যাল উপলক্ষে আমরা দ্বিগুণ রাইডার নিয়োগ দেওয়া সহ আমাদের সক্ষমতা ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি, গ্রাহকদের উপস্থিতি ৮ গুণ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে কেনাকাটার আকর্ষণের মাত্রাকে বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের সেলার কমিউনিটির জন্য এক অসাধারণ ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরি করেছি। এছাড়াও বছরের সবচেয়ে বড় শপিং কার্নিভ্যাল উপলক্ষে এবার আমরা বিক্রেতা নির্বাচন, পণ্যের অথেন্টিসিটি ও সময়মতো ডেলিভারি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছি।”
বছরের এই সবচেয়ে বড় সেলে ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড – ম্যারিকো বাংলাদেশ, ডেটল – রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ ও মোশন ভিউ – এর মতো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি গোল্ড স্পন্সর হিসেবে হোমেল, ইউগ্রিন, লুইসউইল, স্কেমেই, হারপিক–রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ ও গোদরেজ হাউজহোল্ড প্রোডাক্টস বাংলাদেশ এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে উইরেস্টো, সিঙ্গার বাংলাদেশ, ওজেরিও, ওয়াও স্কিন সায়েন্স, স্কিন ক্যাফে লিমিটেড, রিবানা, বিয়ারডো–ম্যারিকো বাংলাদেশ ও ভিট–রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে।
এছাড়া গ্রাহকদের একটি সহজ ক্যাশলেস কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে বিকাশ ও নগদ ছাড়াও ব্যাংক পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, দারাজ ইবিএল কো–ব্র্যান্ড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এইচএসবিসি, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, এনসিসি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।