আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘অবরোধ করলে পাল্টা অবরোধ। দাঁড়াতে দেব না। কারণ যারা বলেছেন শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন করতে হবে; বাধা যারা দেবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা। আমরা তো নির্বাচন চাই, আমরা কেন বাধা দেব? অবরোধ যারা করবে, ঢাকা অচল যারা করবে, তারাই বাধা দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বন্ধুরা (বিদেশীরা) কি ব্যবস্থা নেয় আমরা তা দেখব।’
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস–২০২৩ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমিও বার্তা দিয়ে দিচ্ছি, শেষ বার্তা। আপনি শেষ বার্তা দিয়েছেন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে, আমি আপনাকে শেষ বার্তা দিচ্ছি, আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনী সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
“বার্তা দিয়ে দিচ্ছি, নির্বাচনের পর আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন। এটাই আমাদের বার্তা। অন্যথা হবে না।”
কাদের আরও বলেন, “মির্জা ফখরুলের পকেট গরম, মালপানি ভালো সরবরাহ, ভালো আসছে, পকেট গরম, ওনার কথাও গরম। আমাদেরকে ধমক দেয়, ভয় দেখায়।
“কার কাছে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন? শেখ হাসিনা কোন দোষে পদত্যাগ করবেন? ম্যাজিক লিডার শেখ হাসিনা, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট আট মিনিটে রাস্তা শেষ। এ হল ম্যাজিক লিডার। আট মিনিটে পদ্মাসেতুর এপার, ওপারে।”
সমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “নৌকা ছাড়া উপায় নাই। বাংলাদেশের শান্তি চাইলে নৌকা, সুখ চাইলে নৌকা, উন্নয়ন চাইলে নৌকা, মুক্তিযুদ্ধ চাইলে নৌকা, স্বাধীনতা চাইলে নৌকা।
“নৌকা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র থাকবে না। গণতন্ত্র চাইলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। সারা দেশে উন্নয়ন চাইলে শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিতে হবে।”
সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানও এতে বক্তব্য দেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ