মাগুরার শ্রীপুরে শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে ওঠে । যে অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় ঐ শিক্ষক নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও রবিবার (১৫ অক্টোবর) গভীর রাতে বিদ্যালয়ে ঢুকে নিজের কক্ষের তালা ভেঙে মালপত্র বের করার সময় পুলিশের আটক হন তিনি। এরপর সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়। আটক ঐ শিক্ষকের নাম কেএম রোকন–উজ–জামান ওরফে সুইট। সে শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রিড়া শিক্ষক।
শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ইউসুফ আলী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে শিক্ষক কে এম রোকন উজ–জামান সুইট নদীর কুল দিয়ে বিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে তার নিজের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে মালপত্র বের করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় আমি শ্রীপুর থানায় ফোন দিই এবং চিৎকার চেঁচামেচি করি। এর পরপরই পুলিশ এসে তাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা তদন্তে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমবার শ্রীপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কৃন্ডুকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ঐ শিক্ষক কর্তৃৃক ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল জানিয়েছেন।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, রাতের বেলা গোপনে অবৈধ ভাবে ঢুকে বিদ্যালয়ের কক্ষের তালা ভেঙে মালামাল চুরি করার চেষ্টার অপরাধে সোমবার থানায় স্কুলের নিরাপত্তা প্রহরী একটি মামলা রুজু করেছেন। সেই মামলায় তাকে সোমবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সার্বিক বিষয়ে মতামত জানতে শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাবিনা ইয়াসমিন মোবাইলে বলেন, আমি অল্প কিছুদিন হল ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি।
অতীতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। রাতে স্কুলের সহকারী শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পারলাম ওই শিক্ষক তালা ভেঙ্গে স্কুলে প্রবেশ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। সে যদি অপরাধী হয় আইন তার বিচার করবে। এ বিষয়ে আমাদের স্কুলের পক্ষ থেকে কিছু করার নাই।
গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বিদ্যালয়ের ক্রিড়া শিক্ষক কেএম রোকন–উজ–জামান ওরফে সুইট অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে এমন অভিযোগে পরদিন রোববার দুপুরে শিক্ষার্থীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ ও করেন শিক্ষার্থীরা।
কাশেমুর শ্রাবণ/ আল/ দীপ্ত সংবাদ