ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজায় টানা চতুর্থ দিনের মতো চলছে ইসরায়েলের বিমান হামলা। এতে ১৪০ শিশু ও দুই সাংবাদিক সহ সাত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা বেড়ে ৯০০ ছাড়িয়েছে।
অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন গাজাবাসী। খাবার, সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎহীন খারাপ সময় পার করছেন তারা। সেইসঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রাণহানী।
গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলা থামাতে জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার জনগণের জন্য চিকিৎসা ও ত্রাণ সামগ্রী আসার পথ সুগম করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও অনুরোধ জানান তিনি।
ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র জানান, হামাসকে প্রতিহত করতে ৩ লাখ রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। চলবে ঘরে ঘরে গিয়ে তল্লাশি অভিযান।
তবে থেমে নেই হামাস। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার পাল্টা হিসেবে তাদের হাতে আটক ইসরায়েলিদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছে হামাস।
চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে বিভিন্ন ধরনের সামরিক সহায়তা করলেও দেশটিতে কোনও মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। আর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতদের মধ্যে ১১ জন মার্কিন নাগরিক রয়েছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের জন্য বরাদ্দ হওয়া ৭২ কোটি ৯০ লাখ ডলার সহায়তা স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আর সৌদি আরব সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে ফোনালাপে মাহমুদ আব্বাসকে আশ্বস্ত করেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এসএ/দীপ্ত নিউজ