বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও নীলনকশার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতেই পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পাবনা জেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে একসংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পাবনা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকার।
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও নীল নকশার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণের দাবিকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। দিনের ভোট রাতে করে বা নতুন কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা যেনতেন ভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়। ইতিমধ্যে বিএনপি নেতাদের মিথ্যা মামলা গুলোতে দ্রুততার সাথে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বিচার কার্য শেষ করে ফরমায়েশী রায় প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা আগামী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়।
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার সিএমএম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জসিম উদ্দিন জেলা বিএনপির আহবায়ক জনাব হাবিবুর রহমান হাবিবসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে চার বছরের দন্ড দিয়ে ফরমায়েশী রায় প্রদান।
মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সময় হাবিবুর রহমান হাবিব উপস্থিত ছিলেন না। অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা হয়েছিল। হাবিবুর রহমান হাবিবের নাম এজহারে উল্লেখ ছিল না। আমরা পাবনা জেলা বিএনপি মনে করি– আগামী নির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিবকে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্যই এই ফরমায়েশী রায় প্রদান করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী কায়দায় জেল জুলুমের মাধ্যমে বিরোধী দল অন্য নির্বাচনী মাঠে একতরফা নির্বাচন করতে চায়। হাবিবুর রহমান হাবিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে এই ফরমায়েশী রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে এই রায়ের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আগামী ১১ অক্টোবর পাবনায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ, ১২ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে, ১৩ অক্টোবর জেলা যুবদল, ১৫ অক্টোবর জেলা ছাত্রদল, ১৬ অক্টোবর জেলা মহিলা দল এবং ১৭ অক্টোবর জেলা কৃষক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
শামসুল আলম/শায়লা/দীপ্ত নিউজ