আকাশপথে অত্যাধুনিক বিমান বন্দরের তালিকায় যুক্ত হলো বাংলাদেশ।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিমান যোগাযোগের হাব। সেভাবে বিমানবন্দরগুলোর সম্প্রসারণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, শুধু বিদেশ নয় আকাশ পথে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে অন্যান্য বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন করছে সরকার। বাড়ানো হচ্ছে বিমানের সংখ্যা।
আশা করা হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বদলে দিবে উড়ালপথে ভোগান্তির অভিজ্ঞতা। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই টার্মিনাল দিয়ে বছরে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী যাওয়া আসা করতে পারবেন অনায়াসেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দৃষ্টিনন্দন টার্মিনালে যাত্রী হিসেবে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষুদে শিল্পীরা স্বাগত জানান এই সাফল্যের রূপকারকে। চেইক ইনের পর, প্রধানমন্ত্রীকে প্রতীকী একটি বোর্ডিং পাস দেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। এরপর তিনি ইমিগ্রেশনে যান। সেখান থেকে তিনি নিরাপত্তার ধাপগুলো পার হন।
গৌরবের মেগা প্রকল্প ঘুরে দেখের পর সরকার প্রধান যোগ দেন উদ্বোধনী আয়োজনে।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেল, সড়ক, নৌ ও আকাশ পথ আধুনিক হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তৈরি করা হলো আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৩য় টার্মিনাল। ফলে বাড়বে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিধি।
বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংযোগস্থল হিসেবে কক্সবাজার ও শাহজালাল বিমানবন্দরকে তৈরি করতে চায় সরকার।
পরে শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় তুলে ধরেন বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্ব এবং এগিয়ে যাওয়ার গল্প।
এসএ/দীপ্ত নিউজ