আলুর তেলেসমাতি, পেঁয়াজের ঝাঁজ, সঙ্গে নতুন করে যুক্ত কাঁচামরিচের ঝাল। এই তিন ম্যাজিক চলছে ঢাকার বাজারে।
খাদ্যপণ্যের দামের উর্ধ্বগতির এই ম্যাজিক অবশ্য ক্রেতার কাছে নতুন নয়। বিশেষ করে চাকরি করেই যাদের জীবনধারণ, সেই নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের বাজারে আসতেই যেন হৃদযন্ত্রের ধুকপুকুনি বেড়ে যায়।
১৪ সেপ্টেম্বর আলু–পেঁয়াজের দাম বেধে দেয় সরকার। এরপর কত অভিযান, কত হুমকি–ধামকি কিংবা আশার বাণী, কোনটিই কাজে আসে নি।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, উল্টো সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
এদিকে ফের দামের খেলা দেখাতে শুরু করেছে কাঁচামরিচ। দাম বেড়ে কেজিপ্রতি উঠেছে ৩০০ টাকা।
বাজারে দেখা মিলছে শীতের আগাম সবজির। কিন্তু তা সাধারণের ধরা–ছোঁয়ার বাইরে। যেমন শিমের কেজি ২০০ টাকা। এছাড়া বেশিরভাগ সবজিই ৫০/৬০ টাকার ওপরে।
ডাল–চিনি রয়েছে আগের বাড়তি দামেই। খোলা চিনির নির্ধারিত দাম ১৩০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৩৫/৪০ টাকায়।
মাছের বাজারের অস্থিরতা যেন থামছেই না। ক্রেতার ক্ষোভ হতাশায় কিছুই যায় আসে না বিক্রেতার। বেধে দেয়া দাম মানছে না কোন পক্ষই।
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে যত পদক্ষেপই নেয়া হোক না কেন, আদৌ তার কোন প্রতিফলন ঘটবে কি–না, এ নিয়ে সংশয় রয়েছে ক্রেতা সাধারণের।
এসএ/দীপ্ত নিউজ