চলতি সপ্তাহে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরুর কথা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তখন নির্বাচনের আগে নতুন করে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসবে কি না, সে বিষয়টি সামনে আসে। এবার সেই বিষয়ে মন্তব্য করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেন দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে প্রশ্ন করা হয়, তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র তাকে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচনের আগে আর কোনো ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসবে না। বিষয়টি সত্য কি না। এ বিষয়ে ম্যাথু মিলারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো একপক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ ভিসানীতি আরোপ করেনি। বরং এ ভিসানীতি আরোপ করা হয়েছে কেবল অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য।
তিনি বলেন, শুক্রবারের আরোপ করা ভিসা নিষেধাজ্ঞায় কেবল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতাকর্মী রয়েছেন। তবে নির্বাচনের আগে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসবে কি না তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি ম্যাথু মিলার।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসার বিষয়েও কথা বলেন এ মার্কিন মুখপাত্র। তিনি বলেন, ভিসানীতির আওতায় কারা পড়েছেন নির্দিষ্ট করে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
আরেক প্রশ্নে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুতে দলটি ৪৮ ঘণ্টার যে আলটিমেটাম দিয়েছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী। তবে, তার প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি মিলার।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন– আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
শায়লা/দীপ্ত নিউজ