দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা, শিল্পায়ন এবং টেকসই অর্থনীতি নিশ্চিত করতে হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে জ্বালানী মন্ত্রনায়লয়কে মুজিব জলবায়ুু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে ‘সমন্বিত বিদুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি)’র প্রণয়ন এবং একটি স্বল্প বা শুন্য নির্গমনকারী জ্বালানি চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালী বিআরডিবি মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়াক– প্রান, বন্ধন, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মিডিয়া গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ দাবি জানান।
বন্ধনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আমিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রানের কর্মসূচি কর্মকর্তা জাহিদ মোহাম্মদ ইমরান। আলোচনা করেন প্রানের প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ। মিডিয়া গোলটেবিল বৈঠকে নোয়াখালী জেলার কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন , ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জ্বালানি খাতের কারণে করতে না পারার ফলে জ্বালানির জন্য বাংলাদেশের আমদানি নির্ভরতা রয়ে গেছে এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে আগামীতে জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে মোটা অংকের অর্থ জোগান দিতে হবে। তাই, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় ২০৪১ এর মধ্যে কমপক্ষে ৪০% এবং ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য বিদ্যুত নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ এবং অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
জ্বালানি খাতে সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের নিজস্ব স্থায়ীত্বশীলতা, জ্বালানি স্বাধীনতা এবং জ্বালানি সুরক্ষিত করা এবং বিশ্বে সবুজ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ হয়ে উঠতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নেই বলে জানান বক্তারা।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ