ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিখোঁজের আটঘন্টা পর জান্নাতি খাতুন (৬) নামে এক কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রাম থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আদরের একমাত্র কন্যাকে হারিয়ে শোকে পাগল প্রায় মা স্বপ্না খাতুন। নাড়িছেড়া সন্তানের মরদেহের পাশে বসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। আর মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা খোকন ভুইয়া। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী স্বজন ও এলাকাবাসীর।
শিশুটির বাবা খোকন ভুইয়া বলেন, ‘সোমবার ১২টার দিকে স্কুল থেকে জান্নাতি বাড়ি ফেরে। পরে বাড়ি ফিরে সে রাস্তার পাশে শনপাপড়ি কিনতে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বাড়ির পাশের বিভিন্ন পুকুরে সারাদিন তাকে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া না গেলে থানায় একটি জিডি করেন তিনি। পরে হঠাৎ রাত ১০টার দিকে জান্নাতির লাশ পুকুরে ভাসতে দেখেন তারা।‘
খোকন ভুইয়া অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘মেয়ের ডান হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর রাতের যেকোন সময় তাকে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়।’
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাগুটিয়া গ্রামের ডোবা থেকে জান্নাতি নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।‘
শাহরিয়ার আলম/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ