নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে মোটরসাইকেল যোগে তুলে নিয়ে আবদুল লতিফ মিন্টু (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।
ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশার হত্যা মামলার আসামিও ছিলেন নিহত আবদুল লতিফ মিন্টু।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় সে। নিহত আবদুল লতিফ মিন্টু গোপালপুর ইউনিয়নের মহাবুল্লাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি মাটি কাটার ঠিকাদারী করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে গোপালপুর ইউনিয়নের কবির বাজার এলাকায় আবদুল লতিফ মিন্টুর গতিরোধ করে মোটরসাইকেলে আসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এ সময় তারা মিন্টুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিন্টুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মহাবুল্লাপুর গ্রামের সড়কের পাশে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ মিন্টুকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে রাত ১০টার দিকে মারা যায় মিন্টু। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মিন্টুর ওপর হামলার ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে। তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
ওসি আরও বলেন, ২০২২ সালের ৭ জুলাই গোপালপুর ইউনিয়নে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশারকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৫ নং আসামি ছিলেন আবদুল লতিফ মিন্টু। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।
শায়লা/দীপ্ত নিউজ