সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে না আসা ও মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত মানুষ মৃত্যুর ঘটনায় পদক্ষেপের কথা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন মশা যে পর্যন্ত না কমবে, সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও কমবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
তিনি বলেছেন, আমরা দেখেছি শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ২ হাজার নতুন রোগী আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ১৫ জন। এখন পর্যন্ত দেড় লাখ লোক আক্রান্ত হয়ে আছে। এখনও ১০ হাজার লোক হাসপাতালে ভর্তি আছে৷ মশা নিধনের জন্য প্রত্যেকটি জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। শুধু ঢাকা–শহরে নয় জেলাগুলোতেও এই কাজ করতে হবে। তবেই মশা কমবে, তবেই ডেঙ্গু রোগী কমবে এর বাইরে আমাদের কিছু বলার নেই।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাভারের জিরানী বাংলাদেশ–কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের চক্ষু ইউনিট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
করোনার কাছে আমরা জয়ী হয়েছি তবে ডেঙ্গুর কাছে সরকার বা স্বাস্থ্য খাত হেরে যাচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কাজ আপনারা খুব ভালো জানেন। তাদের দ্বায়িত্ব ডাক্তার–নার্সদের ট্রেইন করা। এ ছাড়া রোগীরা যাতে বেড পায়, ওষুধ পায় ও স্যালাইন পায় সেই কাজ সফলতার সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় করে আসছে। বাইরে আমরা দেখলাম স্যালাইনের অভাব দেখা দিচ্ছে, কিন্তু আমাদের হাসপাতালে স্যালাইনের অভাব নেই। তারপরেও আমরা সরকারি ভাবে নির্দেশনা দিয়েছি যেন ৭ লাখ স্যালাইন বাজারে আমদানি করে আনা হয়। সেটাও ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখবেন বাংলাদেশে স্যালাইন চলে এসেছে। আর দেশে স্যালাইন তো তৈরিই হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বার বার বলেছি। মশা যে পর্যন্ত না কমবে, সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও কমবে না। কারণ মশার কামড়েই ডেঙ্গু রোগ হয়। কাজেই মশা নিধন করতে হবে। মশা নিধন করলেই রোগী কমবে, মৃত্যু ও কমবে।
এম এ হালিম/পূর্ণিমা/ দীপ্ত নিউজ