শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে তিন সমঝোতা সই

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
4 minutes read

জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, কৃষি সহযোগিতা ও স্বাস্থ্য খাতে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টম্বর) ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি দুই দেশের পক্ষে জ্বালানি ও কৃষি খাতের সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

এ সময় দেশটির বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের প্রবেশ সহজ করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। পরে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিনের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতে সহযোহিতার সমঝোতা স্মারক সই করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে দুই মন্ত্রী বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় যেমন স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড১৯ সংকট পরিচালনায় অসাধারণ সাফল্য অর্জনে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান।

মোমেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত এবং এর পেশাজীবীদের শক্তি ও সক্ষমতার উদাহরণ হিসেবে শেখ হাসিনার মডেল কমিউনিটি ক্লিনিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশি মেডিকেল কলেজগুলো প্রতিবেশী দেশ এবং তার বাইরের অনেক শিক্ষার্থীদের খুব পছন্দের। মোমেন উভয় দেশের সুবিধার্থে একাডেমিক এবং পেশাদার সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতির জন্য ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশের ওষুধ ১৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া চাইলে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি করতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের ওষুধ খাতে দেশটির সরাসরি বিনিয়োগের উপায় খোঁজার আশ্বাস দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন , জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে আধুনিক ও নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য প্রচলিত জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদি বিক্রি ও সরবরাহ প্রসার করা। কৃষির উদ্দেশ্য হলো উৎপাদন, বিপণন, প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রসার এবং কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানো। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করেন।

 

 আল/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

সম্পাদক: এস এম আকাশ

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.