রাজধানীর যানজট কমাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর ) চালু হচ্ছে প্রকল্পটির বিমানবন্দর–ফার্মগেট অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
জানা গেছে, কাওলা থেকে কুড়িল–বনানী–মহাখালী–তেজগাঁও–মগবাজার–কমলাপুর–সায়েদাবাদ–যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে এ সড়ক। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার যানজট অনেকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের ভেতরে র্যাম্প (সংযোগ সড়ক) নামানোর কারণে উড়ালসড়কটি নগরীর যানজট বাড়িয়ে দিতে পারে।
এই এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার জন্য থাকছে ৩১টি র্যাম্প। এসব র্যাম্পের মোট দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। বিমানবন্দর, কুড়িল, আর্মি স্টেডিয়াম, সৈনিক ক্লাব, শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ সরণি, সোনারগাঁও মোড়, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, পলাশী মোড়, শনির আখড়ায় ১৫টি র্যাম্প ওঠার জন্য এবং বিমানবন্দর, কুড়িল, সেনানিবাস, আর্মি স্টেডিয়াম, শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ আহমদ এভিনিউ, সোনারগাঁও মোড়, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, শনির আখড়া, ইন্দিরা রোড, পলাশী মোড়ে নামার জন্য মোট ১৬টি র্যাম্প থাকছে।
১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শুরু হয়েছে বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে। ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের শনিরআখড়ায় গিয়ে এর শেষ হবে। প্রকল্পে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। থ্রি–হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও পথচারী চলাচল করতে পারবে না।
আল/দীপ্ত নিউজ