আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছেন। আন্দোলনে পারলেন না, হাসিনাকে হটাতে হবে, কীভাবে হটাতে হবে? ওয়ান-ইলেভেনের মতো ইউনূসের নেতৃত্বে একটা নতুন সরকার এমন কথা-বার্তা বাজারে আছে। সেই দুঃস্বপ্ন দেখছেন কি না জানি না। ওয়ান-ইলেভেনে ইউনূস সাহেব কম চেষ্টা করেননি। তখনো ওনার খায়েশ ছিল। সে খায়েশ পূর্ণ হয়নি।’
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সংগঠনের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব গেছেন চিকিৎসা নিতে, অথচ ডেইলি বিবৃতি ছাড়েন। আমিও তো চিকিৎসা নেই সেখান থেকে কই আমিতো বিবৃতি দেয়নি, মিডিয়াতে কথা বলিনি।
তিনি বলেন, প্রশ্ন করতে চায় ফখরুল সাহেবের কাছে যে একজনের নামে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই লোকতো বঙ্গবন্ধু বা চার নেতাকে হত্যার পর কোন বাণী দেননি। ড. ইউনূস কোন সময় শহীদ মিনার বা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান না। তিনি কোন দূর্যোগে, দুর্বিপাকে মানুষের পাশে থাকেন না। দেশে যখন রক্তগঙ্গা বইয়ে যায় তখন ইউনূস সাহেব কোন কথা বলেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে মানুষ দেশের মানুষের পাশে নেই। তার জন্য কেন মায়া কান্না। সেই মানুষের জন্য কেন মায়া। তিনি নোবেল পেয়েছেন বলে তিনি অব্যাহতি পাবেন কেন। শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করে কিভাবে তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হন? তিনি শ্রমিকের টাকা মেরে খেয়েছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন মামলা হয়েছে আমরা এসব কথা বলতে পারব না। যারা বিবৃতি দিয়েছেন ১৬০ বিদেশের, এটা ২ মিলিয়ন ডলার খরচ করে এই বিবৃতি কিনেছে। পত্রিকায় ছাপিয়েছে খরচ করে। এই অর্থ কোথা থেকে এসেছে। ফখরুলদের আন্দোলন জমে না। তাই ড. ইউনূসের কথা বলছেন। তারা ওয়ান ইলেভেনের মত ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি আরও বলেন, এই ভূখন্ড নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা মামলা স্থগিত করতে বলেন, তারা কোন কিছু না জেনে হাওয়ায় বিবৃতি দেন। সেই বিবৃতির সাথে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা জুড়ে দেন। আসলে তারা দেশের নির্বাচন বানচাল করতে চান। শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার নতুন খেলা। এই অশুভ খেলা খেলতে দেব না। দেশের দূর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সাথে রাজনীতিতে সহবস্থান করছি।
কাদের বলেন, ২১ আগস্টের হামলাকারীরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের রাজনীতিতে সহাবস্থানের জায়গায় নিয়ে এসেছে, এটা দূর্ভাগ্য। এদের মুখে এখন গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। এই শক্তি গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণ করেছে, হত্যা করেছে। তারাই এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে। তারা দুর্নীতিবাজ তাদের মুখে এসব কথা, লজ্জা লাগে না।
শায়লা/দীপ্ত নিউজ