ট্যাঙ্ক থেকে ট্যাপের মাধ্যমে বোতলজাত করে মিনারেল ওয়াটার বলে তা বিক্রি হয় গ্রাহকের কাছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নোয়াখালীতে তিনটি পানির কারখানায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে র্যাব ও উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার পৃথক স্থানে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি বোতলজাতকরণ, প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি না থাকায় ৩ টি পানির কারখানাকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াসির আরাফাত। অভিযানে র্যাব–১১, সিপিসি–৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, কারখানার কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকা এবং কারখানার লাইসেন্স না থাকায় এশিয়া ড্রিংকিং ওয়াটার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ দাউদ হোসেন ফাইসালকে ৫০ হাজার টাকা , পিপাসা ড্রিংকিং ওয়াটার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে ৫০ হাজার টাকা এবং এবি পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আরিফকে ৩০ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ অধিক মুনাফা লাভের আশায় সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ট্যাপের পানি বোতল জাত করে সুপেয় পানি বলে বাজারজাত করে আসছিলো। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ