চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতায় নৌকার সমর্থক নিহতের ঘটনায় করা মামলায় নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে দুপুরে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে মামলার হুকুমের আসামী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জোহরা খাতুন তা নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে ওই মামলার অন্য ২২ জন আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ওই মামলার বাকী আসামীরা জামিনে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১১ মার্চ সহিসংতায় সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) হায়াত আলী ও বিদ্রোহী প্রার্থী (চশমা) এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের কর্মী–সমর্থকেরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হন। ঘটনার পরদিন আলমডাঙ্গা থানায় দবির আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজকে হুকুমের আসামি করে ২৫ জনের নামে মামলা করেন।
এরপর গত ২৪ মার্চ সকালে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আওয়ামী লীগ কর্মী দবির আলী (৫৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ফলে আগের হত্যাচেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। প্রতিপক্ষের দায়ের করা মামলায় ২১ মার্চ আলমডাঙ্গার আমলি আদালতে এজাজ ইমতিয়াজসহ তার পক্ষের ১৭ জন উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক শর্তসাপেক্ষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ