সাতক্ষীরা ভোমরা বন্দরে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবসার আড়ালে ভারতীয় রুপি অনুমোদনহীন কেনা–বেচার পাশাপাশি চলছে হুন্ডির রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিন প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা কেনা–বেচা হয়।
ভোমরা স্থল বন্দর বর্তমান দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থলবন্দর। এ বন্দরে আমদানি রপ্তানী যেমন বাড়ছে তেমনি যাত্রীদের যাতায়াত উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে সরকারের আয়। তবে রাজস্ব প্রাপ্তিতে অনেকটা প্রভাব ফেলছে অবৈধ হুন্ডি ও ভারতীয় রুপী কেনাবেচা।
ভারত থেকে আসা যাত্রী, ব্ল্যাক ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা ভারতীয় রুপির প্রধান যোগানদাতা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোমরা বন্দরে বাবলা ফটোকপি, গাজী মেডিকেল, সর্দার মার্কেটে রাকিব স্টোর, শেখ মার্কেটে ভাই ভাই স্টোর, মায়ের দোয়া স্টেশনারি, ফলমোড়ের সঞ্জয় পান ঘর ও মামুন টেলিকম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তাদের নিজস্ব ব্যবসার আড়ালে ভারতীয় রুপি কেনা–বেচা এখন মুখ্য ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বেলা এগারটা এবং সন্ধা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
ভাই ভাই স্টোরের মালিক হবিবর রহমান জানান, আমরা ইন্ডিয়ান টাকা কেনা–বেচা করি না। ইন্ডিয়া থেকে যারা মটর শ্রমিক আসে তারা আমার দোকান থেকে কিছু মাল নেয়। তখন ইন্ডিয়ান টাকার বিনিময় হয়।
কর্তৃপক্ষের গা ভাসানোর দায়িত্বই অবৈধ ব্যবসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। এতে করে সরকার প্রচুর পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকগুলো।
এ ব্যাপারে ভোমরা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাজরিহার সঙ্গে সোমবার দুপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এসএ/দীপ্ত নিউজ