ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক বার্তা দেয়া হয়েছে। ভারত বলেছে, বাংলাদেশে যদি শেখ হাসিনা সরকারকে দুর্বল করা হয় তাহলে তা সকলের ক্ষতি।
বিশেষ করে আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতা রক্ষায় শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত জানিয়ে দিয়েছে যে, শেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে পুরো বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই মুহূর্তে বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন ও জঙ্গিবাদ দমনে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। ভারতের এই বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে গ্রহণ করেছে সেটি না জানা গেলেও এটি স্পষ্ট যে ভারতের এই বার্তার ফলে তাদের মনোভাব সুস্পষ্ট হয়েছে।
ভারত যে আগামী নির্বাচনে নিশ্চুপ ভাবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে না—এটা এখন মোটামুটি নিশ্চিত। আর ভারতের এই প্রকাশ্য অবস্থান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে। ভারতের এই আনুষ্ঠানিক অবস্থানের ফলে বিএনপির মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। বিএনপি যে আন্দোলনের ছক এবং পরিকল্পনা তা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ভারতের অবস্থানের প্রকাশ্য সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এভাবে একটি দেশের গণবিচ্ছিন্ন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া মানে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। বিএনপির আরেকজন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে বাধ্য করবে—এমন একটি আশা ছিল বিএনপি নেতাদের মধ্যে। এ কারণে তারা উজ্জীবিত হয়েছিল। কিন্তু এখন ভারতের প্রকাশ্য অবস্থানের কারণে বিএনপির পুরো পরিকল্পনা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কারণ বিএনপির সামনে ২০১৩’র অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওই সময় বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিল এবং নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল।
শুধু বিএনপি নয়, জাতীয় পার্টির একটি অংশও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল।
আল/ দীপ্ত সংবাদ