দেশের ১২ জেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ২২ হাজার ১শ’ ১ জন ভূমিহীন–গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময়ে তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন ১২ জেলার ১২৩ উপজেলাকে।
বুধবার ( ৮ আগস্ট) সকাল পৌনে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় খুলনার তেরখাদার বারাসাত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ–২ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ আমানউল্যাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধনে যুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন ১২টি জেলাকে ভূমিহীন–গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। জেলাগুলো হলো মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
এই ১২ জেলাসহ দেশের মোট ২১টি জেলার ৩৩৪টি উপজেলার সব ভূমিহীন–গৃহহীনদের পুনর্বাসিত করা হলো। এর আগে দুই দফায় আরো ৯টি জেলা ভূমিহীন–গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলাগুলো হলো মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরা।
২৩ জানুয়ারি, ২০২১–এ প্রথম পর্যায়ে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, ২০ জুন ২০২১–এ দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং মুজিববর্ষ–এর সময় তৃতীয় পর্যায়ে দুই ধাপে মোট ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে, আশ্রয়ণ–২ প্রকল্পের অধীনে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ২,৩৮,৮৫১টি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তিন উপজেলায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সুবিধাগ্রহীতাদের মাঝে বাড়িসহ জমি হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ–২ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাগ্রহীতাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন। প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা দুই দশমিক দুই শতাংশ জমিতে ভালো মানের টিনশেড আধা–পাকা বাড়ি পাবেন।
শায়লা/ দিপ্ত নিউজ