দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাভোগ করতে হবে। শুধু তা–ই নয়, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না তিনি। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে ইমরানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও তার দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
৩ মাসের ব্যবধানে আবার গ্রেপ্তার হলেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক–ই–ইনসাফ পিটিআই নেতা ইমরান খান। তোশাখানার মামলায় গত শনিবার (৫ আগস্ট) তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদ আদালত। রায় ঘোষণার পর লাহোরের জামান পার্ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরানকে।
এর আগে ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন তার সমর্থকেরা। কিন্তু এবারের চিত্র একদমই ভিন্ন। সামাজিক যোগোযাগ মাধ্যম থেকে শুরু করে রাজপথ– কোথাও ইমরানের পক্ষে জোরালো অবস্থান কিংবা বিক্ষোভ করতে দেখা যায়নি সমর্থকদের। এমনকি গ্রেপ্তারের আগে তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান। কিন্তু তাতেও তেমন সাড়া মেলেনি।
কিন্তু কেন এই পরিবর্তন? এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে বার্তা সংস্থা বিবিসি। ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানের মতে, মে মাসে বিক্ষোভের পর ব্যাপক ধরপাকড়ে, ইমরান খানের সমর্থকরা ভয় পেয়েছেন। এছাড়াও বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও ধারণা তার।
সরকারের একাধিক মন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিল বিবিসি। তাদের মতে, জনগণ এখন আর ইমরান খান কিংবা তার দলকে চান না। তাছাড়া মে মাসের মতো কোন সহিংস কর্মকাণ্ডে পিটিআইয়ের সমর্থকেরা জড়াতে চান না বলেও মনে করেন তারা।
ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খানকে ঘিরেই পিটিআইয়ের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাই দল ছেড়ে গেছেন। যারা এখনো আছেন, তাদের কেউ লুকিয়ে আছেন কিংবা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে দলের জন্য কার্যকর রাজনৈতিক প্রচারণা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আল/ দীপ্ত সংবাদ