টানা বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে ফুলগাজী সদরের উত্তর বরইয়া এবং উত্তর দৌলতপুর এবং পশুরাম উপজেলার অলকা এলাকায় বেড়িবাঁধে ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। পানি ঢুকছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও লোকালয়ে। টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় নষ্ট হয় ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট পুল–কালভার্ট ও বসত ঘর।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে বাঁধের অংশে ভাঙ্গন দেখা দিলে গাছ কেটে, মাটি দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করেও রুখতে পারেনি তারা। পানির প্রচন্ড বেগে বাঁধের আশপাশের উত্তর বরইয়া, বনিক পাড়া, বিজয় পুর, কিসমত বিজয়পুর, বসন্তপুর, জগতপুর পরশুরাম উপজেলার অলকা নামক গ্রামসহ সাতটি গ্রামে বানের পানি ঢুকে পড়ে। তলিয়ে গেছে ৭০ হেক্টর রোপা আমান, তিন হেক্টর আমন বীজতলা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নদীর বাঁধ ভাঙ্গন আমাদের চির দুঃখ পরিণত হয়েছে। আমাদেরকে সাময়িক ত্রাণ এবং সান্তনা না দিয়ে স্থায়ীবাদ নির্মাণের ব্যবস্থা করুন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, টেকসই বাঁধ মেরামতের জন্য ৭৩১ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হবে নিরীক্ষণ শেষে। নদীতে পানির প্রবাহ কিছুটা কমে আসলে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা হবে।
ফুলগাজী উপজেলার কৃষি অফিসার মনজুরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় প্রায় ১২০ সেক্টর রোপা আমান এখন পানির নিচে রয়েছে। প্রায় ১০ হেক্টর বীজতলা পানির নিচে রয়েছে। এছাড়া মানুষের সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, সরেজমিনে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য ২ লাখ টাকা ও সাড়ে তিন মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দিয়েছি। পানি বন্দী মানুষের জন্য শুকনো খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ