রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ–তত্ত ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসির রায় বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতেই হতে পারে।
কারাসূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে তারা।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে কয়েক দফায় শেষ করা হয়েছে ফাঁসির চূড়ান্ত মহড়াও। দেশের বহুল আলোচিত এ হত্যা মামলার দুই আসামি ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত তাহেরের কেয়ারটেকার জাহাঙ্গির আলমের ফাঁসি কার্যকর রাতেই হতে পারে।
বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেমড সেলে বন্দি রয়েছে, আসামি মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর। তাদের দুই জনকে ফাঁসিতে ঝুলাতে আটজন জল্লাদ প্রস্তুত।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গিরের স্বজনরা শেষ দেখা করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরের মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুইজনকে খালাস দেন।
দন্ডিতরা হলেন– রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভূ–তত্ত ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম, তার ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুলের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম।
খালাসপ্রাপ্ত চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি হলেন– রাবি ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।
কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রায় ছয় মাস আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন আসামিরা। সে আবেদনও নাকচ করেন রাষ্ট্রপতি।
এসএ/দীপ্ত নিউজ