দর্শকপ্রিয় অভিনেতা মাহফুজ অহমেদ। তিনি নব্বই দশকে টেলিভিশনের মাধ্যমে অভিনয় যাত্রা শুরু করেন। অভিনয়ে প্রবেশ করার আগে তিনি সাংবাদিক ছিলেন। ‘সময়ের গল্প’–এর সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। বাবা যে টাকা দিত তা দিয়ে চলত না। কী করা যায় ভাবছিলাম। দেখতাম বন্ধুরা বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালিখি করে টাকা ইনকাম করত। আমি বিভিন্ন পত্রিকায় ঘুরতাম, কিন্তু কেউ সুযোগ দিচ্ছিল না।’
মাহফুজ আরও বলেন, ‘একজন সম্পাদক বলল, অনুবাদ করে দেন। আরেকজন বলল, দেখি তো চিত্রনায়িকা চম্পার ইন্টারভিউ করাতে পারেন কি না। এভাবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হতো। তখন এক কলাম, দুই কলাম, এক পাতা, দুই পাতা লিখে এক–দেড়শ টাকা পেতাম। আসলে টাকার জন্যই লিখতাম। এভাবেই সাংবাদিকতা শুরু। স্পোর্টস রিপোর্টিং, বিনোদন সাংবাদিকতা করতে করতে একদিন স্টাফ রিপোর্টার হয়ে গেলাম।’
রিপোর্টিং করতে করতেই সমাজের সব সেক্টরের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয়েছে উল্লেখ করে মাহফুজ বলেন, ‘এই যে মানুষকে দেখা, পর্যবেক্ষণ করা, এটা আমার অভিনেতা মাহফুজ হওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে। আমি বিশ্বাস করি, আজকের যে মাহফুজ আহমেদ, তাকে তৈরি করেছে রিপোর্টার মাহফুজ আহমেদ। সাংবাদিকতার পর্যবেক্ষণ আমার ভেতর কাজ না করলে আমি অভিনয় করতে পারতাম না।’
মাহফুজের প্রথম অভিনয় ইমদাদুল হক মিলনের নাটকে। ১৯৮৯ সালের দিকে। নাটকের নাম ছিল ‘কোন কাননের ফুল’। কীভাবে হয়েছিল সুযোগ? উত্তরে মাহফুজ বলেন, ‘সাংবাদিক হিসেবে যখন আমি ইমদাদুল হক মিলনের সাক্ষাৎকার করতে যাই তখন উনি বলেছিলেন, ‘এই তুমি অভিনয় করবা?’ এই শব্দটি আমাকে অনুপ্রাণিত করে। উত্তেজনায় ঘুমই আসত না। মিলন ভাই আমার মধ্যে অভিনয়ের উত্তেজনা ঢুকিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে হুমায়ূন আহমেদ আমাকে তৈরি করেন।