রাঙামাটিতে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে পরিচালিত অভিযানের ৫০ শতাংশ জায়গায় মিলছে এডিস মশার লার্ভা। সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন।
চলতি সপ্তাহে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ জন। সাধারণ রোগীদের সাথে তাদের দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা। রোগীদের রাখা হয়েছে মশারীর ভেতর। আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর রয়েছে ভ্রমণ ইতিহাস। বিভিন্ন কাজে তারা গিয়ে ছিলেন ঢাকা–চট্টগ্রামে। আবার কেউ কেউ বাড়িতে থেকেও আক্রান্ত হয়েছে।
অন্য দিকে রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ হতে একালায় ঘুরে নির্ণয় কারা হচ্ছে এডিস মশার লার্ভা। অধিকাংশ বাড়ির টব, টায়ার ও ড্রামে জমে থাকা পানিতেই পাওয়া যাচ্ছে এডিস লার্ভা। অভিযানের ৫০শতাংশ বাড়িতেই মিলছে লার্ভা। যা পৌরসভাকে অবহিত করার পরে সেখানে স্প্রে করা হচ্ছে কীটনাশক।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর জানিয়েছেন, বর্তমানে ১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর চাপ থাকায় এখনো আমরা ডেঙ্গু আক্রান্তদের আলাদা করতে পারিনি। যদি রোগী বাড়ে সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শহরের অভিযানের ৫০শতাংশ বাড়িতেই ডেঙ্গুর লার্ভা মিলছে। সকলকে নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে একসাথে কাজ করতে হবে।
শায়লা/ দীপ্ত নিউজ