সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা হাইস্কুলে শিক্ষকের প্রহারে নবম শ্রেণির রাজপ্রতাপ দাস (১৫) নামে ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বাড়ি থেকে নলতা হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। সে কালীগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের মনোরঞ্জন দাসের ছেলে।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষুব্ধ জনতা বাড়ি থেকে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে স্কুল ঘেরা ও অভিযুক্ত শিক্ষক অবকাশ কুমার খাঁ এবং প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েমকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং শিক্ষকদের ৭টি মোটরসাইকেল ও স্কুলভবনের, গ্লাস এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
পুলিশ এসে অভিযুক্ত শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রুমা পারভিনকে আটক করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নলতা হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র জুবায়ের আহমেদ জানান, বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্কুলে কেক কেটে জন্মদিন পালন করছিলেন। শিক্ষক অবকাশ খা হৈ–হুল্লোড় করতে নিষেধ করেন,কিন্তু তারা অনুষ্ঠান বন্ধ না করায় তাদের চারজনকে মারধর করেন।
মৃত রাজপ্রতাপের চাচী তাপসী দাস জানান, দুপুর ১টার দিকে রাজপ্রতাপ বাড়িতে এসে বাথরুমে যায়। ২০ মিনিট পর সে বেরিয়ে এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।ভ্যানে করে নলতা হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর আড়াইটার দিকে সে মারা যায়। রাস্তা থেকে লাশ বাড়িতে নয়া হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক অবকাশ কুমার খাঁ জানান, সকাল ১০ টার দিকে রাজপ্রতাপ ও তার বন্দুরা স্কুলের ছাদে জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনকালে কয়েকজন মেয়ে অশালীন আচরন করায় কয়েক ছাত্রকে চড় মেরে ক্লাসে পাঠিয়ে দেই। এর কয়েকঘন্টা পর তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। বিষপানে রাজপ্রতাপ মারা গেছে বলে জেনেছেন তিনি।
থানার ওসি মামুন রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারন জানা যাবে।
রঘুনাথ খাঁ/এসএ/দীপ্ত নিউজ