বিআরটিএ ফেনী কার্যালয় হতে জাল সনদ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে কম্পিউটার অপারেটর সালাহ উদ্দিন ও তার ভাই দালাল জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১২ জুলাই) এ ব্যাপারে ফেনী বিআরটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সোনাগাজী উপজেলার আউরারখীল গ্রামের মো. ইস্রাফিলের ছেলে নাছির উদ্দিন।
নাছির অভিযোগ করেন, ‘সালাহ উদ্দিন ও তার ভাই জসিম উদ্দিন যোগসাজশে তাকে ৪২ হাজার টাকার বিনিময়ে নাসির উদ্দিন নামে চেস্ট টোকেন এবং ফিটনেস বানিয়ে দিয়েছেন। পরে ঢাকায় মহাখালিতে ট্রাফিক পুলিশ গাড়িটি আটক করে ও কাগজগুলো জাল বলে শনাক্ত করে। পরে মামলা দিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে গাড়িটি আটক রাখে। পরবর্তীতে অরজিনাল টেস্ট টোকেন এবং ফিটনেস বানিয়ে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ দিয়ে গাড়িটি ট্রাফিক পুলিশ থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়।‘
নাছির উদ্দিন ৪২ হাজার টাকা এবং জাল টেস্ট টোকেন ও ফিটনেস প্রদর্শন করায় ট্রাফিক পুলিশের দেয়া মামলা বাবদ ২০ হাজার টাকাসহ ৬২ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ দাবি করেন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে টাকা না দিয়ে বিভিন্ন রকম তালবাহানা করতে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কম্পিউটার অপারেটর সালাহ উদ্দিন জানান, ‘এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তার ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ভাইয়ের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই।‘
অন্যদিকে এ ব্যাপারে জানতে জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল সংযোগ বন্ধ বিআরটি এ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী নাছির জানান, ‘সনদ জাল শনাক্ত করার পর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।‘
বিআরটিএ ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।‘
আবদুল্লাহ আল–মামুন/ পূর্ণিমা/ দীপ্ত নিউজ