নীলফামারীর জলঢাকায় স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে ভবেশ চন্দ্র নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী মৃনাল চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) ভোরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে জলঢাকা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মৃনাল (৩৫) ওই এলাকার দীনেশ চন্দ্রের ছেলে। নিহত ভবেশ চন্দ্র (৩২) একই এলাকার মানিক চন্দ্রের ছেলে। তারা উভয়ে প্রতিবেশি।
এর আগে রবিবার (৯ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার শিমুলবাড়ি রাজবাড়ি মাঝাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ‘কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী মৃনাল চন্দ্রের প্রথম স্ত্রী পারুল রানী সুন্দরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভবেশ চন্দ্রের। প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে শারিরীক সম্পর্কে রুপান্তর নেয়। একপর্যায়ে এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা করা হয়। পরে ভবেশ চন্দ্র মৃনাল চন্দ্রের প্রথম স্ত্রী পারুল রানীকে নিয়ে ঢাকা ও সৈয়দপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে বাবার মিষ্টির দোকান দেখাশোনা করতেন। রবিবার গভীর রাতে বাবার মিষ্টির দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে মৃনাল চন্দ্রের বাড়ির সামনে ভবেশ চন্দ্রের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন ভবেশ।‘
এ সময় তার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা আসেন। গুরুতর অবস্থায় ভবেশকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। পরে এ ঘটনায় প্রতিবেশি মৃনালসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করে নিহত ভবেশের পরিবার। মামলার পরেই গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে পুলিশ।
ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, ‘দুই দিন অভিযান চালিয়ে আমরা এই ক্লুলেস মামলার প্রধান আসামি মৃনালকে গ্রেপ্তার করি। আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, ভবেশের সঙ্গে আসামির স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতে তাকে হত্যা করেছে।‘
ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন/ পূর্ণিমা/ দীপ্ত নিউজ