চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ৯৬ কনটেইনারসহ কাত হওয়া জাহাজ ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ গত ২৪ ঘণ্টায়ও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কবে নাগাদ জাহাজটির উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, সে বিষয়েও কিছুই বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভাসানচরের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন ‘পানগাঁও এক্সপ্রেস’ জাহাজটি ভাড়ায় পরিচালনা করছে সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সি। তবে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভাসানচরের বঙ্গোপসাগরের উপকূলে জাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার নিয়ে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ–টার্মিনালে যাচ্ছিল জাহাজটি।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় জাহাজের তিনটি কনটেইনার পানিতে ভেসে গেছে। তবে নাবিকদের উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে জাহাজটি উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ।
মো. ওমর ফারুক বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে পানগাঁও এক্সপ্রেসের কিছু অংশ ডুবে গেছে। বন্দর থেকে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ–টার্মিনালে যাওয়ার পথে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এখন এটি অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় আছে। ১২ জন নাবিক ও বিআইডব্লিউটিএ’র দুজন প্রতিনিধিসহ ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিতে ৯৬টি কনটেইনার আছে। এরমধ্যে তিনটি পানিতে ভেসে গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজটির মালিক বন্দর কর্তৃপক্ষ। এটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছে সি গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেড। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যের কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ–টার্মিনালে যাতায়াত করছিল।
আফ/দীপ্ত নিউজ