সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, লোভা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে সিলেটে সবকটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (০৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ৬১.০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে স্বল্প মেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। অন্যদিকে আগামী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা যায়, দেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ৩০৭.৪ মি.মি.বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে মেঘালয়ে টানা ও ভারি বর্ষনের ফলে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর নদ–নদীর পানিপ্রবাহের উচ্চতা বেড়েছে। সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত দেওয়া হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে সুরমা নদীর কাইনাঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২.৭৫ সেন্টিমিটার। সেখানে ১১.৯০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০.৮০ সেন্টিমিটার। সেখানে পানি ১০.১৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, দুই দিন ধরে পানি বাড়তির দিকে। তবে আশা করছি মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত কমে এলে এখানে পানি বাড়ার হারটা কমে আসবে।
তিনি জানান, ‘নদীর পানি এখন পর্যন্ত কোনো পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে নিম্নাঞ্চল, বিশেষ করে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের যেদিকে বাঁধ নাই সে জায়গাগুলো প্লাবিত হয়েছে।’
শায়লা/ দীপ্ত সংবাদ