কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সবকটি নদ–নদীর পানি কমতে শুরু করলেও বন্যা পরিস্থিতি অপিরিবর্তিত রয়েছে। ৯ উপজেলায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ১২ হাজার পরিবার।
নদ–নদীর অববাহিকার গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলার প্রায় ১শ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। চারণভূমি তলিয়ে থাকায় চরাঞ্চলগুলো গবাদি পশুর খাদ্য নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ৪ সেন্টিমিটার, ধরলার সেতু পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৫৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৮৯ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উলিপুর উপজেলার পুর্ব বালাডোবা চরের আব্দুর রহমান জানান, ‘চরে ৪টি পরিবারের বসবাস। চরটি নতুন এবং নিচু হওয়ায় বেশির ভাগ ঘর বাড়িতে পানি উঠেছে নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় পানিও পাওয়া যাচ্ছে না।’
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার মমিন জানান, ‘পানি হ্রাস পেলেও এখনো বাড়ির চারিদিকে পানি। পটলসহ সব সবজি ক্ষেত পানির নিচে। এবারের বন্যায় খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল–মামুন জানান, ‘নদ–নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। যদি আর বৃষ্টিপাত না হয় তবে খুব দ্রুতই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া আছে। নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে ত্রান বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউনুস আলী/এসএ/দীপ্ত নিউজ