আর মাত্র একদিন পর ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী নির্বাচনি প্রচারণার শেষ হয় সোমবার (১৯ জুন) রাত ১২টায়। বন্ধ হয় সভা, সমাবেশ, গনসংযোগ ও মাইকিং।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে ইভিএম সহ নির্বাচনের সরঞ্জাম।
এদিকে সোমবার রাত ১০টায় শেষ নির্বাচনি জনসভা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
নগরের ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে আয়োজিত এ সমাবেশে মেয়র হলে সিলেট নগরকে চাঁদাবাজী, ছিনতাই ও ভূমি দখলদার থেকে মুক্ত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী।
এসময় তিনি বলেন, ‘সিলেট হবে সুন্দর ও স্মার্ট নগর।’ নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান তিনি। পুরো নগরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনে জনসভা করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। সোমবার রাতে নগরীর রিকাবীবাজারে প্রতিবাদ সভা শেষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে এসে কোর্ট পয়েন্টে প্যান্ডেল ভেঙে দিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।
তিনি অভিযোগ করেন শাসন পক্ষপাতমূলক কাজ করছে। একপক্ষের হয়ে কাজ করছে। জাতীয় পার্টিকে দূর্বল পেয়ে তারা এই অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, লাঙ্গলের যে গণজোয়ার উঠেছে। যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন তারা, এই গণজোয়ারকে থামাতে পারবে না। ২১ জুন লাখো ভোটের ব্যবধানে লাঙ্গল বিজয়ী হবে।
শেষদিনে পথসভা না করে প্রতিবাদ সভা করেছেন বলে জানান তিনি।
আফ/দীপ্ত নিউজ