নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের আতশআলী বাজারে এক নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (১১ জুন) গভীর রাতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল করিম (৪৫) একই ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে। তিনি প্রায় এক বছর যাবৎ বাজারটিতে বৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। ব্যবসায়ীদের ধারণা বাজারে চুরি করতে ব্যর্থ হয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
নিলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিদ্দিক মিয়া বলেন, আতশআলী বাজারে প্রতি রাতের মতো আবদুল করিম ও আরশাদ আলী নামের দুজন নিরাপত্তা প্রহরী পাহারা দিচ্ছিলেন। তাঁদের দায়িত্ব ছিল বাজারের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বাঁশি বাজিয়ে হেঁটে যাওয়া। পাহারা দেওয়ার সময়ই রবিবার রাতে বাজারের মাঝামাঝি স্থানে কে বা কারা আবদুল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে চলে যায়।
বাজারে কর্মরত অপর নৈশপ্রহরী আরশাদ আলীর জানান, রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বাজারে পাহারা দেওয়ার সময় তিনি ছিলেন পশ্চিম প্রান্তে। নিয়ম অনুযায়ী, কিছুক্ষণ পরপর তাঁদের স্থান পরিবর্তনের কথা। দীর্ঘ সময় হয়ে গেলেও আবদুল করিম পূর্ব প্রান্ত থেকে ফিরছিলেন না। ওই সময় কোনো কিছু হলো কি না, দেখতে তিনি এগিয়ে যান। বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে গিয়ে দেখেন, আবদুল করিমের রক্তাক্ত লাশ বাজারের ভিতরের রাস্তায় পড়ে আছে। শরীরের নানা জায়গায় কোপানো হয়েছে। এরপর তিনি বাজার কমিটির সদস্যদের ফোনে খবর দেন। পরে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান জানান, ওই রাতে বাজারের কোনো দোকানে কোনো চুরির ঘটনাও ঘটেনি। বাজারে অথবা বাজারের আশেপাশে এলাকায় কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, নৈশপ্রহরীকে কে বা কারা কি কারণে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করল, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাঁর দুই হাতের কবজি, কোমরসহ শরীরের ৯টি জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশি তদন্ত চলছে, হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হবে।
আল/দীপ্ত সংবাদ