২০০৬ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি ও সরবরাহের কাজ ছিল নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নতুন খসড়া আইনের আওতায় এখন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন হবে।
সোমবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এনআইডির দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে দিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এই আইনের অধীনে নাগরিকদের জন্ম নিবন্ধন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন পরিচালিত হবে। যেকোনো নাগরিক জন্মের পর পরই তাদের সনদ নাম্বার পাওয়ার অধিকারী হবেন। এটি অপরিবর্তিত হবে। এটা কোনো সময় পরিবর্তন করা যাবে না। আইনের অধীনে এটি নিবন্ধকের অফিস থাকবে। নিবন্ধকের অফিস নিবন্ধনের কাজটি করবে। নির্বাচন কমিশনের কাজ শুধু ভোটার তালিকা তৈরির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
যে সার্ভার আছে তা নির্বাচন কমিশনের অধীন, সেটি কী হবে– জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন অনুযায়ী নতুন নিবন্ধক থাকবে, তার অধীনে স্থানান্তর হবে। ভোগান্তি দূর করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য সব নাগরিকের একটি ইউনিক নাম্বার।
নির্বাচন কমিশন শুধু ১৮ বছরের অধিক কেউ হলে ভোটার তালিকায় যুক্ত করবে। আইন অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয় পত্রের বর্তমান ইউনিক নম্বরগুলো চলমান থাকবে। জেলা উপজেলা পর্যায়ে নিবন্ধকের অফিস নামে কাজ শুরু করবে। সরকারের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের একটি ইউনিক নাম্বার রাখা। জন্মের সাথে সাথে এটি তাদের অধিকার।
আফ/দীপ্ত নিউজ