পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার সোমবার (৫ জুন) থেকে পন্যটির আমদানি অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্তের পরই চট্টগ্রামের বৃহত্তর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়ৎগুলোতে ধাপে ধাপে নামতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ।
গত ২৪ ঘন্টায় প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে দাম আরো কমবে বলে আশা করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করে। বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ ভর্তি প্রতি আড়ত।
সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার বিজ্ঞপ্তির পরপরই ফরিদপুর, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক পর্যায় থেকে সরবরাহ বাড়তে থাকে রোববার সন্ধ্যা থেকে। সেই সঙ্গে দাম কমেছে কেজিতে ২০ –২৫ টাকা পর্যন্ত।
রবিবার বিকেল পর্যন্ত যেখানে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি দর ছিলো ৯২–৯৫ টাকা। সেখানে আইপি ইস্যুর সিদ্ধান্তে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সন্ধ্যায় সেই পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয় ৭০–৭২ টাকায়। আমদানি বন্ধ হওয়ার আগে পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এখনো ভারতীয় পেঁয়াজের বুকিং দর আগের মতোই আছে। তাই ভারতীয় পেঁয়াজ আসার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের দাম আরো সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে মনে করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। কৃষি বিভাগের দাবি, যার পুরোটাই এ বছর দেশে উৎপাদিত হয়েছে।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে পেঁয়াজ আমদানি করা না হলে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে সারা বছর ভোক্তাদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবেনা। এদিকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
রুনা/ আল/দীপ্ত সংবাদ