আজ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী। দিনটি উপলক্ষ্যে প্রিয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন।
সাম্য, দ্রোহ ও প্রেমের জয়গান গাওয়া বিংশ শতাব্দীর এই প্রধান বাঙালি কবি ও সংগীতকার মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য রেখে গেছেন, তা তুলনারহিত।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কবির পরিবার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শ্রেণিপেশার সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়েছে।
বরাবরের মতো এবারও জাতীয় পর্যায়ে নজরুলজয়ন্তী পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সকালে কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। মাত্র ৯ বছর বয়সে পিতার মৃত্যুর পর পারিবারিক অভাব–অনটনের কারণে তার শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হয় এবং মাত্র ১০ বছর বয়সে জীবিকা অর্জনের জন্য কাজে নামতে হয় তাকে। মক্তবের শিক্ষকতা, মসজিদের মুয়াজ্জিন থেকে শুরু করে রুটির দোকান—বহু জায়গায় কাজ করেছেন নজরুল। তার পাশাপাশি বাল্যবয়স থেকেই সাহিত্য–সংস্কৃতির নানা পরিসরে পদচারণা ছিল তার। নিজ কর্ম এবং অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বাংলা এবং সংস্কৃত সাহিত্য অধ্যয়ন শুরু করেন।
মৃত্যুর কয়েক বছর আগে তাকে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব ও জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়া হয়। ১৩৮৩ সনের ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট, ১৯৭৬) তিনি মারা যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।
আফ/দীপ্ত নিউজ