চলমান এসএসসি পরীক্ষায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উচ্চতর গণিতের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সংখ্যায় গড়মিলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার অবগত থাকলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না কেন্দ্র সচিব।
জানা যায়, চলমান এসএসসি পরীক্ষার রবিবার (২১ মে) বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগে সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে ও বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিতের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পরীক্ষায় চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অধীনে মোট ৫৩৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেখানে বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চতর গণিত বিষয়ে ১ জন ও একই কেন্দ্রের উপ–কেন্দ্র গণিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উচ্চতর গণিতের প্রশ্নপত্রের বান্ডিলে ১৬০ টি প্রশ্নপত্র থাকার কথা থাকলেও সেখানে ১৫৮টি প্রশ্নপত্র ছিল বলে জানা যায়। বাকি ২টি প্রশ্নপত্রের কোন হদিস পাওয়া যায় নি।
চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্র সচিব মাহবুবুর রহমান তারেকের কাছে প্রশ্নপত্রের সংখ্যার গড়মিলের জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরণের কোন ঘটনা নেই। আপনাদের কাছে কে অভিযোগ করেছে? এটা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কেউ করতে পারে। আমাক কেন্দ্রে কখনো, কোনদিন প্রশ্ন কম ছিলনা, আজ ও নেই। আমার একটা মর্যাদা আছে, প্রতিষ্ঠানের একটা ভাবমূর্তি আছে। এগুলো নষ্ট করতে কেউ এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।‘
চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার ও বেগমগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশ্নপত্র যেগুলো কক্ষে পাঠানো হয় সেখানে গণনায় কম হতে পারে, প্যাকেটে কম–বেশি হতে পারে। বিজিপ্রেস থেকেও এ ভুল হতে পারে। সে ধরনের কিছু হয়েছে।
প্রশ্নপত্রের গড়মিলের বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, প্রশ্নপত্রের সংখ্যায় গড়মিল থাকার একটা খবর পেয়েছি। আমি ট্যাগ অফিসার থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ এস এম নাসিম/এমি/দীপ্ত নিউজ