নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ চরঈশ্বর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম ও তার মেয়ে সুমাইয়াকে খাবারের সাথে নেশাদ্রব্য খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের অচেতন করে ঘর থেকে স্বর্ণ, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করেছে দূর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১৯ মে) সকালে অসুস্থ্য অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার মেয়েকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিন চরঈশ্বর গ্রামের বাসিন্ধা। তাঁর মেয়ে সুমাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধার ভাই আজাদ জানান, পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকায় বাবা ও মেয়ে ঘরে একা ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে তারা। সকালে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন তাদের দরজা খোলা দেখে ভিতরে গিয়ে তাদের অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
স্থানীয়দের ধারনা, গভীর রাতে কোন সংঘবদ্ধ দূর্বত্তের দল ঘরে থাকা খাবার বা ঘুমে থাকা অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর মেয়েকে নেশাদ্রব্য দিয়ে অচেতন করে। পরে তারা ঘরে থাকা আলমেরি ভেঙে স্বর্ণ, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম হার্ট সমস্যায় ভুগছেন দীর্ঘদিন থেকে।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উপ–সহকারি মেডিকেল অফিসার মানছুর উদ্দিন জানান, মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম ও তাঁর মেয়েকে স্বজনরা সকালে হাসপাতালে আনে। তাদের দুইজনকে নেশা কোন দ্রব্য দিয়ে অজ্ঞান করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার শাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। উনার মেয়ে শংকামুক্ত হলেও মুক্তিযোদ্ধাকে জরুরী ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাতিয়ার বাহিরে পাঠানো হবে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ.এস.এম.নাসিম/এফএম/দীপ্ত নিউজ