ঢাকার আশুলিয়ায় অপহরণের ১০ দিন পর ফারাবি আহমেদ হৃদয় নামে এক কলেজ ছাত্রের হাত–পা বাঁধা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব–৪। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বাহিনীটি৷ বৃহস্পতিবার ( ১৮ মে ) দুপুরে আশুলিয়ার মোজারমেলের স্টার্ন হাউজিং এলাকার একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফারাবি আহমেদ হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গ্রেফতার ময়েজ হোসেন ওরুফে পরান মানিকগঞ্জ জেলার ও মোঃ সুমন মিয়া ওরুফে বাপ্পি বগুড়া জেলার। তারা দুইজনেই নিহত হৃদয়ের প্রতিবেশী।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব–৪ জানায়, গ্রেফতার আসামী ও ঘটনার মূলহোতা পরান এবং ভুক্তভোগী হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। হৃদয়ের বাবা স্থানীয় প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যাক্তি। গ্রেফতার আসামী পরান ও তার সহযোগী মোঃ সুমন মিয়া বাপ্পি এবং অপর দুই জন পলাতক আসামী আকাশ এবং শাহীন আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়কে অপহরণ করে তার পরিবারের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিলো।
র্যাব আরও জানায়, পূর্ব পরিকল্পনামতে গত ০৮ মে বিকেলে আসামীরা ভুক্তভোগীকে আড্ডা দেয়ার কথা বলে সুকৌশলে পলাতক আসামী আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামীরা হৃদয়কে জোড়পূর্বক রশি দিয়ে বেঁধে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দাবী করে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে হৃদয়কে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। অতঃপর সন্ধ্যায় ভিকটিমের মরদেহ বস্তা বন্দি করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল হতে রিকসাযোগে মোজারমেল এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়।
অতঃপর আসামীরা আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধারপূর্বক উক্ত অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত পরান ও বাপ্পিকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পরে আজ দুপুরে আকাশ নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামীরা তাদের কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আল/দীপ্ত সংবাদ