বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা–এর প্রভাবে নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ১১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। হুমকির মুখে আছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাতিয়ার সঙ্গে শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে সারা দেশের নৌ–যোগাযোগ বন্ধ আছে। ফলে হাতিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন। সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জাহাজমারা টাংকির ৫৪ নং স্লুইসের বেড়িবাঁধটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গা থাকায় বড় জোয়ার এলে বেড়িবাঁধসহ স্লুইসটি তলিয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দিনাজ উদ্দিন বলেন, ‘৮১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। ফলে প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিঝুম দ্বীপের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। ঘূর্ণিঝড় মোখায়ও নিঝুমদ্বীপে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ার আশংকা করছি।‘
হাতিয়া উপজেলার নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর উল্লাহ শিবলু বলেন, ‘নলচিরা এলাকায় বাতাসের গতিবেগ অনেক বেড়ে গেছে। আমার ইউনিয়নে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আছে। জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেলে নলচিরার অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।‘
জানা যায়, হাতিয়ার মোট ১১০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ আছে। এর মধ্যে কয়েকটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ।
আফ/দীপ্ত সংবাদ