মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম, সু-চিকৎসার জন্য দুশ্চিন্তায় পরিবার

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
5 minutes read

আরিফসুমাইয়া দম্পতির কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে যমজ পুত্র সন্তান হাসেনহোসেন। তবে শিশু দুটি স্বাভাবিক নয়, বুকে জোড়া লাগানো। গত শনিবার (৬ মে) রাত ২:৩০ টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের রাজধানী নার্সিং হোমএ সিজারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম দেন সুমাইয়া আক্তার।

নবজাতক যমজ শিশুর পিতা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের আগ দিঘুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পিতা আরিফ হোসেন বলেন, ৬ তারিখ টাঙ্গাইলের রাজধানী নার্সিং হোমএ আমার স্ত্রীর যমজ শিশু হয়। কিন্তু তাদের বুক একে অপরের সাথে জোড়া লাগানো। ক্লিনিকে নিবির পর্যবেক্ষণ না থাকায় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ৯ তারিখ বাসায় নিয়ে আসি। বাচ্চা দুটি এখন সুস্থ্য। বিকল্প পদ্ধতিতে তাদের খাওয়ানো হচ্ছে। স্ত্রী সুমাইয়াও সুস্থ্য আছেন।

আরিফ হোসেন বলেন, আমার বাবা ঘোড়ার গাড়ি চালক। আমি পেশায় দিনমুজর। আমাদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল না। ক্লিনিক থেকে বলেছে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা সম্ভব। কিন্তু এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। শিশু দুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিত্তবানসহ সরকারিবেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

মা সুমাইয়া আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সন্তান দুজনকে আলাদা শরীরে দেখতে চাই। চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমার সামর্থ নেই চিকিৎসা করানোর। তাই সরকারের কাছে সকল প্রকার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এদিকে জোড়া লাগানো যজম শিশু দুটি দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে প্রতিবেশিসহ আশপাশে কয়েক গ্রামের মানুষ।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. লিংকু রাণী কর জানান, চিকিৎসা শাস্ত্রে এটিকে কনজয়েনড টুইন বেবি বা সংযুক্ত যমজ শিশু বলা হয়। এটি অবশ্যই জটিল একটি চিকিৎসা। অস্ত্রোপচার করা গেলে সফলতা সম্ভব। দেশে জোড়া লাগানো বেশ কয়েকটি শিশুর অস্ত্রোপচার হয়েছে।

নবজাতক শিশু দুটির সুচিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের আগ দিঘুলিয়া গ্রাম।

নবজাতক শিশু দুটির মাতা সুমাইয়া আক্তার। বিকাশ নম্বর: ০১৩১৪৬৯৮৯০৩

আফ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More