হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন আড়াইহাজার উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১০ জন নেতৃবৃন্দকে অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গায়েবী মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ ( ৮ মে ) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি‘র নেতাকর্মীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের ঘটনাকে দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর বর্তমান অবৈধ সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী সরকার নিজেদের গদি জোর করে ধরে রাখতে আদালতকে দিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর এবং কারাগারে প্রেরণ করতে বেপরোয়া ও বেসামাল হয়ে উঠেছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এভাবে গ্রেফতার ও নির্যাতন চালিয়ে আন্দোলন–সংগ্রামকে দমন করা যাবে না। বরং সরকারের এধরণের উন্মত্ত আচরণে বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ না হয়ে বরং আরও বেশী বলীয়ান হয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় কারো জীবনেরই ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও নির্দোষ মানুষকে অপরাধী বানিয়ে গায়েবী মামলা, গ্রেফতার, কারান্তরীণ, রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও হয়রানী করা হচ্ছে। অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গায়েবী মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতা মোশারফ মেম্বার, আতাউর মেম্বার, মাসুম শিকারি, মফিজুল ইসলাম, রিপন মেম্বার, আলী হোসেন, যুবদল নেতা ইমরান হোসেন, আসাদ এবং ছাত্রদল নেতা রনি‘র জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ সেই নির্যাতন ও হয়রানীর নির্মম বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ নারায়ণগঞ্জের উল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান।
আল/দীপ্ত সংবাদ