কয়েক প্রজন্ম ধরে দুই সেন্টিমিটার ক্ষুদ্র একটি কোরআন সংরক্ষণ করছে আলবেনিয়ার একটি পরিবার। এটি আতশি কাচ দিয়ে পড়তে হয়।
২ সেন্টিমিটার দীর্ঘ ও ১ সেন্টিমিটার পুরু, ৯০০ পৃষ্ঠার এই কোরআন শরীফটি, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট কোরআনগুলোর একটি। বর্তমানে এটি সংরক্ষিত আছে আলবেনিয়ার তিরানা শহরের বাসিন্দা মারিও প্রুসি নামের এক ব্যক্তির কাছে।
কোরআনটি শুধু আকারে ছোট হওয়ার জন্যই বিশেষ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিষ্ময়কর এক ইতিহাস। মারিও‘র দাবি, কসোভোর জোকোভিকা অঞ্চলে মাটি খোঁড়ার সময়, তার প্রো–পিতামহ একটি মরদেহের ওপর অক্ষত অবস্থায় কোরআনটি পান। এরপরই তার প্রো–পিতামহ ক্যাথলিক থেকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।
এখানেই শেষ নয়। মারিও জানান, আলবেনিয়ায় কমিউনিস্ট শাসন চলার সময়, ১৯৬৭ সালে পুরো দেশে ধর্ম চর্চা নিষিদ্ধ করেন কমিউনিস্ট নেতা এনভার হোক্সা। যারা ধর্ম পালন করতেন, তাদেরকেই জেলে পাঠিয়ে দিতেন তিনি। সেসময় আকারে অনেক ছোট হওয়ায়, এটি সহজেই মারিওর দাদা লুকিয়ে ফেলেন।
পরবর্তীতে কোরআনটিকে অক্ষত রাখতে, মারিওর বাবা এটিকে পার্শ্ববর্তী কসোভোতে পাঠিয়ে দেন। তবে ১৯৯৯ সালে কসোভোতে শুরু হয় যুদ্ধ। অনেক হাত পেরিয়ে অক্ষত অবস্থায় কোরআনটি ফেরত পান মারিওর বাবা। শেষমেষ ২০১২ সালে বাবার মৃত্যুর পর, পবিত্র গ্রন্থটি সংরক্ষণের দায়িত্ব পান মারিও।
ছোট ও দেখতে অন্যরকম হওয়ায়, অনেকেই এটি কিনতে চেয়েছেন। এছাড়া জাদুঘরের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে এটি কাউকে দেবেন না বলে জানিয়েছেন মারিও।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ